শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

""দেশটা কি আসলেই নষ্টদের অধিকারে চলে যাচ্ছে না?""

লিখেছেন : ওলিউল ইসলাম




তরুনরাই পারে জাতিকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দিতে। ধরি, পাঁচ কোটি তরুন তরুনীর মধ্যে দুইটা তরুন তরুনী বিশেষ কাজে সাফল্য আনলো। বিদেশী পুরষ্কারও পেলো। তাতেই কি দেশের তরুন-তরুনী এগিয়ে গেলো? এই ধরনের কথা শাক দিয়ে ভাত ঢাকার মতোই।

আচ্ছা, সেই দুইটা তরুন-তরুনী বিশেষ কাজে সফল হলো, সুনাম হলো দেশের কোটি কোটি তরুন তরুনীদের। কিন্তু এদিকে যে কোটি কোটি তরুন-তরুনী কি হালে আছে, কি হালে চলে তার দিকে একটু তাকাই না কেন! তখনই বুঝা যাবে এতো এতো তরুন-তরুনী যেখানে ধ্বংস হচ্ছে সেখানে দুইটা তরুন-তরুনীর সাফল্যের ছোঁয়ায় আমরা আমাদের সকল তরুন তরুনীদের শোচনীয় অবস্থা ভুলে যাচ্ছি কি করে?

তরুন-তরুনীদের বয়স হলো মেধা বিকাশ ও তা কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বয়স। অথচ এদের অনেকেই নেশা করে, অনেকেই আবার প্রেম-পীরিতি করে টাইম পাস করে, অনেকেই হোটেলে কাজ সারে, অনেকেই ধর্ষণ করে ছবি তুলে বাজারে ছাড়ে, অনেকেই দিনভর সেক্স ফ্যান্টাসীতে ডুবে থাকে, সারাদিন পর্নো দেখে, অনেকেই সাইকোলজিকেলী ডিজঅর্ডারড, অনেকেই হতাশায় ভোগে, অনেকের অনেক রোগ দেখা দেয়, অনেকেই স্বপ্ন দেখে ছোট।



সরকার আর শুশীল সমাজ স্বপ্ন দেখে বড় বড়! ইসলাম উন্নতির পথে বাধা, লেখাপড়া শেখায় না, ব্যক্তি স্বাধীনতা দেয় না, তাই জাতি উন্নয়ন করতে পারছে না। আসলেই সমস্যা!


না, সমস্যা আসলে ইসলাম নয়। সমস্যা হলো পরিবেশ। সরকার তরুন-তরুনীদের বাইরে এনেছে ঠিকই, কিন্তু তাদের ভালো পরিবেশ দিতে পারেনি। শুশীল, নাস্তিক, সরকার সবাই ভাবে মাদ্রাসা, দাড়ি, টুপি আর হিজাবমুক্ত সমাজই আধুনিক সমাজ । আর এ সমাজের তরুন-তরুনী মাত্রই সমাজকে এগিয়ে নিবে ।

কিন্তু তরুন-তরুনীরা নেশা করছে, মদ খাচ্ছে যা স্বাস্থ্যের জন্যে এমনকি জীবনের জন্যেও ক্ষতিকর, তবুও এদিকে এসব শুশীল, নাস্তিকদের ভ্রুক্ষেপ নেই। যেন এসব নেশাখোর, মদখোর তরুন-তরুনীরাই দেশের মঙ্গল। আবার অনেকেই প্রেম-পীরিতি করে, বিয়া শাদী না করে, হোটেলে উঠে কামলীলা করে; এটা তাদের স্বাধীনতা, এটা না ঘটলে যেন দেশ ধ্বংস হয়ে পাকিস্তান কায়েম হয়ে যাবে। আবার তরুন-তরুনীরা পর্নোগ্রাফি চর্চায় জড়িয়ে পড়ছে, এক্ষেত্রে নাস্তিক, শুশীলরা বাধা দিবে না। মোট কথা, তরুন তরুনীরা যথাসম্ভব বেহায়াপূর্ণ, ধ্বংসাত্মক, অমূলক, অনৈতিক কাজে তরুন প্রজন্ম ডুবে থাকলেই যেনো জাতি এগিয়ে গেলো? উন্নতি হচ্ছে কয় আনা?

আমাদের তরুন-তরুনীরা রাস্তা ঘাটে দুই একটা ফ্ল্যাস মোব, শাহবাগে দুই একটা স্লোগান আর দিন কি রাতে সাঝ প্রভাতে ইটিশ পিটিশ করতে পারলেই হয়েছে! তরুন প্রজন্ম এগোচ্ছে !

তুমি এখানে সেখানে যেনতেন কর অথচ আটকে গেলে কিন্তু "স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দেশকে নষ্ট করছে!" এটাই শেখানো হচ্ছে আমাদের তরুন প্রজন্মকে! আর কিছুই না! মুরগীর বেরাম হলে যেমন উম পারে, এসব তরুন তরুনীও নিজেদের দোষে দুষ্ট হয়েও খোলা মাঠে গিয়ে ইসলামকে গালমন্দ করে। এটা তাদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। আর তাদেরকে আধুনিক শিক্ষা নামকরনে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে ওপেন সেক্স সোসাইটি, লিভ টুগেদার, সমকামিতা ইত্যাদিতে। এই হলো আমাদের এগিয়ে যাওয়া তরুন তরুনীদের ফিডব্যাক!!!

হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন "দেশটা নষ্টদের অধিকারে চলে গিয়েছে"। আমি তার কথা তার মুখের উপরই ছুড়ে মারলাম। আমাদের চেয়ে কি উন্নত দেশ নেই যেটা মুসলিম শাসিত?!


এসব নষ্টামির শেষ কোথায়? দেশটা কি আসলেই নষ্টদের অধিকারে চলে যাচ্ছে না? এখন সত্যিকারের নষ্টদের চিনতে ভুল না করলেই হয়। তবেই এদের দমানো যাবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন