শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৫

Scientific error in Qur`an ************************ Error 404: not Found

লিখেছেন: শমশের



        কুরআন শরীফ এক অপার বিস্ময়! কিভাবে এতে হাজারের উপর বৈজ্ঞানিক আয়াত মাথা উচু করে স্বগর্বে দাঁড়িয়ে আছে নাস্তিকসহ বোদ্ধামহলে এক বিরাট কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। একের পর এক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার কিভাবে কুরআন এর সাথে মিলে যাচ্ছে তার কোন জাগতিক ব্যাখ্যা আমরা খুঁজে পাইনা। এতসব আবিষ্কার যতই কুরআন এর সাথে মিলে যাচ্ছে ততই কমছে নাস্তিকতার পাল্লাটা। ইউরোপ সহ সারাবিশ্বে ইসলাম এখন দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম। অপর দিকে কুটিল মনের নাস্তিকদের সংখ্যা যে দিনকে দিন কমছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। নাস্তিকতার কঠিন বেড়াজাল থেকে বেড়িয়ে এসে ফরহাদ মজহারদের মত লোক আজ মৌলবাদী হয়ে যায়। নাস্তিকরা কুরআন থেকে যতগুলি কন্ট্রাডিকশন খুজে বের করার চেষ্টা করেছে ততবার ধরা খেয়েছে। 
কুরআনে  কোন বৈজ্ঞানিক ভুল না পেয়ে তারা এরপর শুরু করে অপপ্রচার। কুরআনে যা বলা হয়নি, তাই তারা বলা শুরু করে। তাদের অপপ্রচারের একটা প্রোপাগ্যান্ডা হল পৃথিবী সমতল। তারা দাবি করে কুরআনে নাকি বলা হয়েছে পৃথিবী সমতল। প্রমাণ হিসেবে তারা যেসব আয়াত ব্যবহার করে তা দেখলে একজন সাধারন শিশুও হাসবে। তারা যেভাবে এসব আয়াত ব্যবহার করে তাতে আসলে না হাসার কোন কারন নেই। যাইহোক তাদের এই প্রোপাগ্যান্ডার জবাবটা আমরা দিব। এখানে জবাবের কিছুই নেই, বরঞ্চ তাদের আলোর দিকে নিয়ে আসাটাই আমাদের লক্ষ্য। আশা করব এরপরে তারা আর এবিষয়ে তর্ক করবেনা। আজকে আমার উদ্দেশ্য পৃথিবীকে গোলাকার প্রমাণ করা নয়। কারন তা প্রমাণ করতে কেবল একটা শব্দই যথেষ্ট। দাহাহা। 
rashad khalifa কিংবা QXP[Shabbir Ahmed (writer)
এর অনুবাদ দিয়েই তা প্রমান করে যায়। একটা অনুবাদ ও একটা স্ক্রিনশর্ট দিচ্ছি দাহাহা নিয়ে। 

মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৫

বিবর্তনবাদের ক্রমবিকাশতত্ত্ব, একজন চার্লস ডারউইন ও একজন গ্রেগর মেন্ডেল

লিখেছেন: আদনান ইউনূস



        চার্লস ডারউইনের ক্রমবিকাশ তত্ত্ব বিশ্লেষণে একথা প্রমানিত যে তা অন্তঃসার ও একবিন্দু অভিনবত্ব নেই। তা থেকে এমন কোন নতুন তত্ত্বের সন্ধান দিতে পারেনি যা পূর্বে কারো জানা ছিল না। ডারউইন ক্রমাগত কয়েক বছরের অবিশ্রান্ত অনুসন্ধান ও চিন্তা-গবেষনার পর একটি তত্ত্ব হিসেবে তার মতকে জনসমক্ষে পেশ করেছেন। তাঁর একমাত্র কৃতিত্ব ও বিশেষত্ব এতটুকুই। কেননা জীবনের ক্রমবিকাশ সংক্রান্ত চিন্তাধারা প্রাচীন গ্রীক দর্শনের একটি অংশ হিসেবে বর্ণিত ও বিবৃত হয়ে এসেছে বহুকাল আগে থেকেই। জীবনের বিভিন্ন আকার আকৃতি(FORMS OF LIFE) সহ বিশ্বালোকের প্রত্যেকটি বস্তু পরিবর্তন ও বিবর্তন লাভ করেছে বলে গ্রীক দার্শনিক হিরাক্লিটাস খৃষ্টপূর্ব পাঁচশ বছর পূর্বে মত প্রকাশ করেছিলেন। এম্পডোকলিস খৃষ্টপূর্ব সাড়ে চারশ বছর পূর্বে দাবি করেছিলেন। জীবন প্রস্তর থেকে উদ্ভুত আর জীব জন্তু প্রাণী অস্তিত্ব পেয়েছে উদ্ভিদ থেকে। প্রাচীন মুসলিম দার্শনিক ও অধ্যান্তবিদরাও ক্রমবিকাশবাদের কোন না কোন তত্ত্বের প্রবক্তা ছিলেন। কিন্তু সেসব ছিল নিতান্তই ধারনা, অনুমান ও চিন্তাবিলাস মাত্র। মানুষ প্রত্যেকটি জটিল ও দুর্বোধ্য বিষয়কে সহজ ও সুবোধ্যরুপে দেখতে ইচ্ছুক ওসব চিন্তাধারা এ প্রবণতারই ফল। কিন্তু তার পিছনে যুক্তির ভিত্তি ছিল অনুপস্থিত।

রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৫

ইসলামে পশু অধিকার

লিখেছেন:  মিজানুর রহমান



        শিরোনামটা অনেককে অবাক করবে। অনেকের ঠোঁট প্রসারিত হয়ে মুখে একটা মুচকি হাসি খেলে যাবে। হুহ! যে ধর্মে কুরবানী নামের পশুবলি উৎসব আছে সে ধর্মে আবার পশু অধিকার! আমাদের সমাজে এমন লোকের মোটেও অভাব নাই। কুরবানীর কারনে অনেকেই মনে করেন ইসলাম একটা হিংস্র ধর্ম। অথচ সত্যটা একেবারেই উলটো। ইসলাম পশু পাখিদের যে অধিকার চৌদ্দশ বছর আগে দিয়েছে সেগুলোর জন্য মাত্র কিছু বছর থেকে সরকার এবং বিভিন্নসংস্থা গুলো ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইসলামে জীব জন্তুদের অধিকার জানার আগে আমাদের একটা কথা জেনে নেওয়া উচিত। আল্লাহ পশুপাখি এবং পৃথিবীর সবকিছু অর্থাৎ গাছ, জল, আকাশ, সূর্য শুধুমাত্র মানুষদের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তিনি পৃথিবীর সবকিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন’ [সূরা বাক্বারাহ/২৯]।
ইসলাম বৈধ পশু-পাখি খাওয়া জায়েয। ইসলাম এমন অযৌক্তিক কথা বলেনা যে সকলে নিরামিষভোজী হও অথবা প্রাণ খেওনা। এটা একেবারেই অবৈজ্ঞানীক ওযুক্তিহীন কথা। সকলে নিরামিষভোজী হলে পৃথিবী টিকেই থাকতো না। আর উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে, তাহলে মানুষ খাবে কী?! ইসলাম পশু পাখি খাওয়ার অনুমতিও দিয়েছে আবার সেই সাথে কিছু সাবধানবানীও দিয়েছে। ইসলাম পশু-পক্ষীর ন্যায্য অধিকার দিয়েছে। অকারণে তাদের মেরা ফেলা, খাওয়ার জন্য ছাড়া হত্যা করা, তাদের উপর বেশী বোঝা চাপানো, নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য তাদের কষ্ট দেওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ। মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, :-‘আল্লাহর অভিশাপ সেই ব্যক্তির উপর, যে(অকারণে) পশুর অঙ্গহানী ঘটায় [নাসাঈ/৪৪৪২ ; ইবনে হিব্বান ,বাইহাকী]।

শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

নাস্তিকদের হত্যা করা এবং ইসলামী আইন প্রসঙ্গ

লিখেছেন: মাহদী

 

         যদি কোন ব্যাক্তি প্রকাশ্যে আল্লাহ সুবহানা তায়ালা বা নবী (সা:) কে অবমাননা করে বা অশ্লীল ভাষায় গালি দেয়, কটাক্ষ করে হেয় প্রতিপন্ন করে তবে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ডের কথা যা বলা হয়েছে সেটা অবশ্যই ইসলামিক রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে হতে হবে এবং ইসলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হবার পরেই সেই আইন প্রযোজ্য হবে এর পূর্বে নয়। যেমন:- মদীনায় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবার পূর্বে মক্কার জীবনে কাফেররা নবী (সাঃ) কে অনেকে গালি দিয়েছে এমনকি আঘাতও করেছে কিন্তু এত নির্যাতন সত্বেও এবং সুযোগ থাকার পরও আল্লাহ বা তাঁর রসূল সাহাবীদের কাফেরদের এমন হত্যার আদেশ দেননি। এর কারণ কখনই এটা নয় যে ইসলামিক রাষ্ট্র গঠনের পূর্বে মুসলমানরা ছিল দূর্বল তাই তখন যদি হত্যা করা হয় তবে মুসলমানদেরই টিকে থাকা কষ্টকর হবে আর ইসলামী রাষ্ট্রের মাঝে তা করলে কেউ কিছুই করতে পারবে না। না এটা ঠিক নয় কারন মুসলমানরা দূর্বল থাকলেও আল্লাহ সুবঃ তো আর দুর্বল নন, উদাহরনস্বরুপ- যখন তায়েফে নবী (সা:)কে আঘাত করা হয়েছিল তখন আল্লাহ সুবঃ অসংখ্য গজবের ফেরেশতা পাঠিয়ে দিলেন ফেরেশতারা নবী (সা:)কে বললেন আল্লাহ সুবঃ আমাদের হুকুম দিয়েছেন যে যদি আপনি আদেশ করেন তবে আমরা তায়েফবাসীদের এই দুই পাহাড়ের মাঝে ধসিয়ে দিব। কিন্তু নবী (সা:) তা আদেশ দিলেন না ঊল্টো আরও তাদের জন্য হেদায়েতের দোয়া করলেন, মূলত এটা ছিল আল্লাহরই সিদ্ধান্ত।

""দেশটা কি আসলেই নষ্টদের অধিকারে চলে যাচ্ছে না?""

লিখেছেন : ওলিউল ইসলাম




তরুনরাই পারে জাতিকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দিতে। ধরি, পাঁচ কোটি তরুন তরুনীর মধ্যে দুইটা তরুন তরুনী বিশেষ কাজে সাফল্য আনলো। বিদেশী পুরষ্কারও পেলো। তাতেই কি দেশের তরুন-তরুনী এগিয়ে গেলো? এই ধরনের কথা শাক দিয়ে ভাত ঢাকার মতোই।

আচ্ছা, সেই দুইটা তরুন-তরুনী বিশেষ কাজে সফল হলো, সুনাম হলো দেশের কোটি কোটি তরুন তরুনীদের। কিন্তু এদিকে যে কোটি কোটি তরুন-তরুনী কি হালে আছে, কি হালে চলে তার দিকে একটু তাকাই না কেন! তখনই বুঝা যাবে এতো এতো তরুন-তরুনী যেখানে ধ্বংস হচ্ছে সেখানে দুইটা তরুন-তরুনীর সাফল্যের ছোঁয়ায় আমরা আমাদের সকল তরুন তরুনীদের শোচনীয় অবস্থা ভুলে যাচ্ছি কি করে?

তরুন-তরুনীদের বয়স হলো মেধা বিকাশ ও তা কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বয়স। অথচ এদের অনেকেই নেশা করে, অনেকেই আবার প্রেম-পীরিতি করে টাইম পাস করে, অনেকেই হোটেলে কাজ সারে, অনেকেই ধর্ষণ করে ছবি তুলে বাজারে ছাড়ে, অনেকেই দিনভর সেক্স ফ্যান্টাসীতে ডুবে থাকে, সারাদিন পর্নো দেখে, অনেকেই সাইকোলজিকেলী ডিজঅর্ডারড, অনেকেই হতাশায় ভোগে, অনেকের অনেক রোগ দেখা দেয়, অনেকেই স্বপ্ন দেখে ছোট।

সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্তের “বৈজ্ঞানিক” প্রমানঃ (পর্ব ১)

লিখেছেন: সাইফুল ইসলাম

 

সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ কি আছেন? Intelligent Design কি সত্যি?
এধরনের প্রশ্ন যেকোনো যৌক্তিক মানুষের মাঝে আসাটাই স্বাভাবিক। কারন যেকোন ধরনের বিশ্বাসই হতে হবে যুক্তিসঙ্গত। কিন্তু বর্তমান সময়ের কিছু তথাকথিত নামধারী বিজ্ঞানমনস্ক! নাস্তিকরা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। সেই নাস্তিকদের জবাব দিতেই এই প্রবন্ধ(পর্ব ১) ।  
যদি একজন সৃষ্টিকর্তা থেকে থাকেন তবে তার পরিকল্পনার ছাপ চারপাশের প্রকৃতিতে খুজে পাওয়ার কথা? প্রকৃতির অসামান্য সব উপাদানগুলোর মধ্যে এক চিন্তাশীল সত্ত্বার ছাপ খুজে পাবেন এবং সেগুলির প্রমানগুলো একে একে দিতে গেলে হয়ত এই লেখাই শেষ হবে না...তারপরও আমি এই প্রবন্ধে(পর্ব ১) সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্তের কিছু “বৈজ্ঞানিক” প্রমাণ দেখবঃ
১। পৃথিবীঃ এর আকৃতি এবং গঠন অবিশ্বাস্য রকমের নিঁখুত। পৃথিবীর আকৃতি এবং এর অভিকর্ষ ক্ষমতা এর চারদিকে ৫০ মাইল ব্যাসার্ধের একটি বায়ুমণ্ডলকে টিকে থাকতে সাহায্য করছে যার বেশিরভাগই অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন এর সমন্বয়ে তৈরি। যদি পৃথিবী আকৃতিতে কিছুটা ছোট হতো, তাহলে একটি বায়ুমণ্ডলের অস্তিত্ব সম্ভবই হতো না, যেমনটা দেখা যায় বুধ গ্রহের বেলায়। অন্যদিকে এর আকৃতি যদি খানিকটা বড় হতো তাহলে এর বায়ুমণ্ডলে শুক্র গ্রহের মত প্রচুর পরিমান হাইড্রোজেন পাওয়া যেত এবং জীবনধারণ করা অসম্ভব হতো। এই মহাবিশ্বে পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ যার বায়ুমণ্ডলে সব গ্যাসগুলো এমন এক নিঁখুত অনুপাতে আছে যাতে  জীবনধারন সম্ভবপর হয়।
সূর্য্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বটা একবারে সঠিক, যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই।

বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৫

"মুহাম্মদ (স:) কি শ্রেষ্ঠ নয়?"


লিখেছেন: রিয়াদ ইবনে আশরাফ


       মানব সভ্যতার ইতিহাসে যতসব মহানায়কের জন্ম হয়েছে তাদের অনেকেরই জীবনী আমি পড়েছি, যেহেতু আমি বয়সে খুব ছোট এবং আমার জ্ঞান ও স্বল্প, তবে আজ আমি আপনাদের সামনে এমন একজন মনীষীর জীবনীর প্রশংসাগুলো তুলে ধরবো যিনি বিশ্বের কোটিকোটি মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন, বিধাতার পরেই মুসলিমরা যার নাম নেয় এবং বলে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক মনীষী রয়েছেন, তবে খুব কম মনীষীই রয়েছে যাদের অন্যান্য মনিষীরা প্রশংসা করে, মুহাম্মদ (স:) তারই এক উদাহরন, কিছুটা মুসা(আ:)ও উদাহরন হতে পারে। Sir George Bernard Shaw in ‘The Genuine Islam,’ Vol. 1, No. 8, 1936. মুহাম্মদের ধর্মের প্রতি আমি সবসময় সুউচ্চ ধারণা পোষণ করি কারণ এর চমৎকার প্রাণবন্ততা। আমার কাছে মনে হয় এটাই একমাত্র ধর্ম যেটা সদা পরিবর্তনশীল জীবনযাত্রার সাথে অঙ্গীভূত হওয়ার ক্ষমতা রাখে যা প্রত্যেক যুগেই মানুষের হৃদয়ে আবেদন রাখতে সক্ষম। আমি তাঁর(মুহাম্মদ) সম্বন্ধে পড়াশোনা করেছি– চমৎকার একজন মানুষ এবং আমার মতে খ্রিষ্টবিরোধী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে অবশ্যই মানবতার ত্রাণকর্তা বলতে হবে। আমি বিশ্বাস করি তাঁর মতো ব্যক্তির নিকট যদি আধুনিক বিশ্বের একনায়কতন্ত্র অর্পণ করা হতো তবে এর সমস্যাগুলো তিনি এমনভাবে সফলতার সাথে সমাধান করতেন যা বহু প্রতিক্ষীত শান্তি ও সুখ আনয়ন করতো। আমি ভবিষ্যতবাণী করছি যে মুহাম্মদের ধর্মবিশ্বাস আগামীদিনের ইউরোপের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, যা ইতিমধ্যে বর্তমান ইউরোপে গ্রহণযোগ্যতা পেতে আরম্ভ করেছে।



প্রশ্ন ও উত্তরে ইসলামি জ্ঞান

লিখেছেনঃ শামসুদ্দোহা আল আমীন


১০০) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনুল কারীমে কতটি সূরা আছে?
উত্তরঃ ১১৪টি।
১০১) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের প্রথম সূরার নাম কি?
উত্তরঃ সূরা ফাতিহা।
১০২) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে বড় সূরার নাম কি?
উত্তরঃ সূরা বাকারা।
১০৩) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে ছোট সূরার নাম কি?
উত্তরঃ সূরা কাওছার।
১০৪) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে বড় আয়াত কোনটি কোন সূরায়?
উত্তরঃ সূরা বাক্বারার ২৮২ নং আয়াত।
১০৫) প্রশ্নঃ পবিত্র কুরআনের মধ্যে সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ আয়াত কোনটি?
উত্তরঃ আয়াতুল কুরসী। (সূরা বাক্বারা ২৫৫ নং আয়াত।
১০৬) প্রশ্নঃ ফরয নামাযান্তে কোন আয়াতটি পাঠ করলে, মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে যেতে কোন বাধা থাকে না?
উত্তরঃ আয়াতুল কুরসী।

কোরআন এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়

লিখেছেন: রিয়াদ ইবনে আশরাফ


আসসালামু আলাইকুম।


          আমার এটা ব্লগের ২য় লেখা, এর আগের লেখাটি ছিলো মূর্খদের সাথে তর্কের বিষয়ে, যদিও আমার লেখার মান খুব একটা ভালো নয়, তবুও চেষ্টা করছি আমরা যতদুর পারি। আমার পরিবার আর্থিক দিক দিয়ে খুব স্বচ্ছল নয়, কিন্তু আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান ভাবী, কারন আমার ঘরে এমন একটি সম্পদ আছে যা পুরো মানব জাতির পথ প্রদর্শক, বুঝতেই পারছেন.? আল-কোর'আন! তাই আজ আল-কোর'আন নিয়ে কিছু কথা লিখলাম, এসব হয়তো আপনারা জানেন, কিন্তু অনেকেই আছেন যাদের জানা দরকার, সবার উদ্দেশ্যেই লেখা। কোর'আন শরীফ বা কোরান শরীফ আরবি উচ্চারণে (আল্-কুর্'আন) ইসলাম ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ । ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (স:) এর নিকট অবতীর্ণ হয়। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে। আয়াত বা পঙক্তি সংখ্যা ৬,৬৬৬ টি। এটি মূল আরবি ভাষায় অবর্তীর্ণ হয়। 


মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৫

"কোর'আন হাদিস নিয়ে জ্ঞান নেই যার, উত্তর না দেওয়াই উত্তম তার"

লিখেছেন : রিয়াদ ইবনে আশরাফ

           
          আমরা আজকাল নাস্তিকদের সাথে তর্কে লিপ্ত হই, তারা আমাদের নানা ভাবে প্রশ্ন করে এবং আমরা উত্তর দিয়ে থাকি, একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে তারা একই প্রশ্ন বার বার করে, কিংবা যে প্রশ্নের উত্তর তাদের জানা আছে বা যে প্রশ্ন করার কোনো দরকারই নেই সেসব প্রশ্নও, কিংবা আমাদের সবার প্রিয় সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ মনিষীকে নিয়েও তারা বাজে মন্তব্য করে থাকে, অনেকে বলে মুহাম্মদ (স:) এর এতো গুলো বিয়ের কারন কি.? কিংবা বলে ইসলাম একাধিক বিয়েকে সমর্থন কেনো করে.? এই প্রশ্নের উত্তর বার বার দেওয়া হয়েছে, এই ব্লগেও শামসুদ্দোহা ভাই এই প্রশ্নের সুন্দর ভাবে উত্তর দিয়েছেন। আর তাছাড়া আরো কিছু প্রশ্ন রয়েছে যা প্রশ্ন তো নয়ই, আমাদের অনূভুতি তে আঘাত করার মাধ্যম, আর রয়েছে বিজ্ঞানের কিছু গাঁজাখোরী মতবাদ আর সন্দেহে ভর্তি বিবর্তনবাদ এর উদাহারন। যেসব মানুষ আমাদের কাছে জানতে আসে তাদের আমরা জানাতে চাই, কিন্তু যারা আমাদের সময় নষ্ট করতে চায় এবং এক প্রশ্ন বার বার করে বা ভাষার মারপ্যাঁচে আজগুবি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে আমাদের বিভ্রান্তিতে ফেলে তাদের সাথে তর্ক না করাই ভালো।

ইসলাম কেন বহুবিবাহের অনুমতি দেয়?

লিখেছেন: শামসুদ্দোহা আল আমীন



এই নোট পড়ার আগে অবশ্যই এই নোট পড়ে নিবেন। না হলে ধারাবাহিকতা হারাবেন। এবং অনেক কিছুই বোধগম্য হবে না।
বহুবিবাহ কি?? এ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/notes/shamsuddha-al-amin/1123894277627546

অনেক মুসলিম ভাই এবং বেশীরভাগ অমুসলিম ভাই এর মনে প্রশ্ন জাগে ইসলাম কেন বহুবিবাহের অনুমতি দেয়? এটার মাধ্যমে ইসলাম কি নারীকে ছোট করে না?? এটা নারীর জন্য অপমান। যারা এমন মনে করেন তাদের অবশ্যই জানা উচিত ইসলাম কেন বহুবিবাহের বৈধতা দিয়েছে।

ইসলাম কেন বহুবিবাহের অনুমতি দেয়?? 

অনেকের মনেই ধারণা আছে যে, মুসলিমরা প্রথম বহুবিবাহের সুত্রপাত ঘটিয়েছে। আসলে এটা ঠিক না। অনেক আগের ইতিহাসও বহুবিবাহের উদাহরণ পাওয়া যায়। ইসলাম শুধু এই পদ্ধতিকে একটা নিয়ন্ত্রিত রূপ দিয়েছে।

কেন বিবর্তনবাদ তত্ত্ব ভুয়া ও পৌরাণিক কল্পকাহিনী? পর্ব - ১

লিখেছেন :  আদনান ইউনূস


নাস্তিকতার শেষ সম্বল হচ্ছে বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে আকড়ে ধরা, আর এটিকে জোর পূর্বক সত্য ও প্রমানিত বলে অপপ্রচার করা; ঐ প্রমানিত শব্দটি যারা উচ্চারন করে তাদেরকে আপনি যখনই বলবেন তা প্রমান করেন, তারা এই বলে পিছু হটে যাবে যে এটা একদিনে প্রমান করার কিছু নয়। এটা লক্ষ কোটি বছর ধরে সংঘটিত একটা ব্যাপার। ঠিক আছে তাও মানলাম তো কিভাবে হয়েছে? তখন তারা বলবে বিবর্তন বুঝার মত জ্ঞান আপনার নেই। তার মানে ও আপনাকে বুঝাতে পারবে না, কারন ও নিজেই বিবর্তনবাদ নিয়ে কোনদিন লেখাপড়া করেনি, না পড়েই না জেনেই তারা বিবর্তনবাদ সত্য সত্য বলে চিল্লাচিল্লি করে ।

বেদে আল্লাহ

লিখেছেন :  মো: রাফাত রহমান


আল্লাহর নাম সর্ব ব্যাপক, তিনিই সত্য, তাঁর দ্বারাই আমাদের শুরু, তাঁর দ্বারাই আমাদের শেষ। তিনিই এক ও তিনিই অদ্বিতীয়। তার নামই রয়েছে সব ধর্মগ্রন্থে। হিন্দু ধর্মগ্রন্থও তার ব্যাতিক্রম নয়। হিন্দু ধর্মের একেশ্বরবাদ প্রমান করতে যেয়ে আমরা শুধু ইক্কামইবাদিত্তিয়ামেই থেমে রয়েছি, কিন্তু বেদ উপনিষদে যে সেই একজন স্রষ্টার নামও স্পষ্ট দেয়া আছে তা আমরা কয়জনই বা জানি? হিন্দুদের কাছে যখনই তাঁর স্রষ্টার নাম জিজ্ঞেস করবেন সে বলতে পারবে না সঠিক নামটা। কেউ বলবে কৃষ্ণ, কেউ বলবে রাম, কেউ বলবে মহাদেব। কিন্তু আসল স্রষ্টাকে তারা খুঁজে পায় না যার নাম তাদের ধর্মগ্রন্থেই লুকিয়ে আছে, উল্টো তারা বিভিন্ন লেখক ও গল্পকারের বানানো কাল্পনিক সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে পড়ে থাকে যার রয়েছে মানবীয় গুণাবলি, ভোগ বিলাস, ভুল, কাম, জরা ও মৃত্যু। অনেক হিন্দু প্রশ্ন করতে পারে এবং করবেও যে হিন্দু ধর্মগ্রন্থে যদি আমরা আল্লাহ ও নবীর নাম খুজি তাহলে কেন এই হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলোকে আমরা বিকৃত বলি, কেন আমরা হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলোকেই স্রষ্টার বাণী মানি না? এর উওর আল্লাহ দিয়েছেন পবিত্র কোরআনের সুরা আরাফ আয়াত -১৬২ এ,

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৫

শুন্য থেকে মহাবিশ্ব তৈরী, পরিনতি ও আমরা এবং কিছু বৈজ্ঞানিক আলোচনা

লিখেছেন : আমি শমশের


বিজ্ঞান আমাদের পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করছে বহুকাল থেকেই। এক্ষেত্রে তারা কতটুকু সফল আর কতটুকু ব্যর্থ সে হিসেব নাইবা করলাম। যুগের প্রয়োজনে একেকটা তত্ত্ব বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে । কোন কোন  তত্ত্ব হারিয়ে গেছে কালের অতল গহ্বরে আবার কোনোটা আবার টিকে আছে  স্বর্নলতিকার মত পরনির্ভরশীল হয়ে।
বর্তমান যুগের অত্যন্ত প্রতিভাবান বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বর্তমান মহাবিশ্ব সৃষ্টির পেছনে একটি তত্ত্ব দিয়েছেন। স্টিফেন হকিং তার 'কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস' বইতে প্রথমে বলেছেন মহাবিশ্ব প্রথমে একত্রে একটি বিন্দুতে (অদ্বৈত বিন্দু) একত্রে মিলিয়া ছিল। পরে এই মিলিত বিন্দুর উপর প্রচন্ড এক বিস্ফোরন ঘটে যার ফলে সৃষ্টি হয় আমাদের এই মহাবিশ্ব। গানিতিক ভাবে ১৯৭০ সালে জ্যোতি-পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং এবং গণিতবিদ রজার পেনরোজ, পেনরোজের আগের একটি উপপাদ্যের আলোকে প্রমাণ করেন যে, বিগব্যাং-এর শুরুতে ‘সিংগুলারিটি ’বা অদ্বৈত বিন্দুর অস্তিত্ব ছিল ।

অশান্তির ভাইরাস ছড়ানোর জন্য কারা দায়ী?

লিখেছেন: এ.কে চৌধুরী


অশান্তি বলতে কি বুঝায়? সাধারন ভাষায় আমরা যা বুঝি-'কোন মানুষের মনে চরম হতাশা, দু:খ, ভয়, অপমানবোধ থেকে যে যন্ত্রণা সৃষ্টি হয় সেটাই অশান্তি। অশান্তি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বৌদ্ধ ধর্মের একটা থিওরী আছে। সেটা হলো: কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ, মাতসর্য্য এই ষড়রিপু থেকে যে দূরে থাকতে পারবে সেই অশান্তি থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবে। কিন্তু দু:খের বিষয় এই নিয়ম অনুসরণ করেও তারা অশান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেনি তার প্রমাণ তাদের আত্নহত্যার হার। আমার দৃষ্টিতে অশান্তির জন্য যেসকল বিষয় দায়ী তার মধ্যে প্রধান হলো চুরি-ডাকাতি, ধর্ষণ, ডিভোর্স, সমকামীতা, অপসংস্কৃতি, আত্নহত্যা, ধন-সম্পদের প্রতিযোগিতা, সংযম অবলম্বন না করা, কারও অনুপস্থিতিতে নিন্দা করা, মিথ্যা বলা, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করা, সত উপদেশ না দেয়া, নিজে ভাল কাজ না করা, অন্যায়ের প্রতিবাদ না করা, ভাল ব্যবহার না করা, অধৈর্য্য হওয়া, মাদকাসক্তি .......ইত্যাদি এরকম বহু কারণ রয়েছে।

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৫

রাসূল (সাঃ) কেন এত বিয়ে করেছিলেন?

লিখেছেনঃ Shamsuddha Al Amin


মুসলিমদের আঘাত করার খুব ভাল একটা বিষয় হল- তারা রাসূল(সাঃ) এর বিয়ে নিয়ে আজে বাজে কথা বলে। কেউ বলে, তিনি এত বিয়ে কেন করেছেন যেখানে কুরআন এ সর্বোচ্চ চারটি বিয়ের কথা বলা হয়েছে? কেউ বলে এটা দ্বারা তিনি তার যৌনক্ষুধা মিটিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)। কেউ বলে সবার জন্য হারাম করে নিজের জন্য হালাল করেছেন। এমন উদ্ভট আজগুবি প্রশ্ন করে ইসলামকে ছোট করে আর যে সব মুসলিমের ঈমান দুর্বল তাদের ঈমাণ আরও দূর্বল হয়ে যায়। এই লেখায় এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। এই নোট পড়ার আগে, এই লিঙ্ক থেকে ঘুরে আসতে পারেন। তাতে বুঝতে পারবেন ইসলাম কেন বহু বিবাহের অনুমতি দেয়।



কেন রাসূল(সাঃ) এতগুলো বিয়ে করেছিলেন???